প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪

প্রিয় নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী আজকের আমাদের আলোচনা তে রয়েছে পশ্চিম বাংলার নবম শ্রেনীর বাংলা  সহায়ক পাঠ থেকে প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪ , এই প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪ পুরো প্রশ্ন উত্তর টা পড়লে তোমরা সব কমন পাবে এবং এই নবম শ্রেনীর প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪ থেকে অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ও বড় প্রশ্নোত্তর পাবে।

তাহলে বেশি দেরি না করে পশ্চিমবঙ্গের নবম শ্রেণীর বাংলা সহায়ক পাঠ থেকে প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪ যে প্রশ্ন ও উত্তর গুলি দিয়েছি দেখে নাও ।

 বহুবিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর |কর্ভাস গল্প mcq প্রশ্নোত্তর |প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪

 

প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪

 

১. ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর বাড়িতে কোন্ পোষা পাখি ছিল ?

A) কাক

B) টিয়া

C) তোতা

D)ময়না

2. প্রোফেসর শঙ্কুর পোষা ময়না একদিন চেঁচিয়ে উঠেছিল ?

A)  আগুন, আগুন

B) জল, জল

C) ভূমিকম্প, ভূমিকম্প

D) চোর, চোর

3. প্রোফেসর শঙ্কুর পোষা বিড়ালের নাম হল —

A নিউটন

B) পুসি

C) কর্ভাস

D) প্রহ্লাদ

4. কোন্ পাখি মাটিতে বাসা বাঁধে ?

A) বাবুই

B) ম্যালি-ফাউল

C) গ্রিব

D) হামিং বার্ড

5. ম্যালি-ফাউল ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোনোর জন্য তাদের বাসার ভিতরের তাপমাত্রা কত রাখে ?

A) সত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট

B) বাহাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট

C) পঁচাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট

D) আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট

6. কোন্ পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় ও শাবকদেরও খাওয়ায় ?

A) গ্রিব

B) ম্যালি-ফাউল

C) বাবুই

D) হামিং বার্ড

7. কর্ভাস’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর তৈরি যন্ত্রটির নাম হল

A) সিজমোগ্রাফ

B) অরনিথন

C) স্নাফগান

ড) রিমেমব্রেন

6. কর্ভাস’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর তৈরি যন্ত্রটির কাজ হল—

A) পাখিকে পড়ানো

B) পাখিকে খাওয়ানো

C) পাখিকে গান শেখানো

D) পাখিকে ম্যাজিক শেখানো

7. সব পাখির মধ্যে কোন্ বিশেষ পাখি বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল ?

A) চড়ুই

B) ম্যালি-ফাউল

C) গ্রিব

D) কাক

8. প্রোফেসর শঙ্কু কাকটিকে প্রথম কী শেখাতে শুরু করেন ?

A) সহজ বাংলা

B) সহজ ইংরেজি

C) সহজ অঙ্ক

D) সহজ রসায়ন

9. আর্গাসের চশমার পাওয়ার কত ছিল ?

A) মাইনাস দশ

B) মাইনাস বারো

C) মাইনাস পনেরো

D) মাইনাস কুড়ি

10. আর্গাস হোটেলের ঘরে ঢোকার পর প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর পকেটে দেখতে পান —

A) একটি রুমাল

B) পিস্তল

C) কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগো’-র সান্ধ্য সংস্করণ

D) দামি কলম

25. গ্রিক উপকথায় যে কীর্তিমান পুরুষের উল্লেখ পাওয়া যায়,তাঁর নাম —

A ) কর্ভাস

B) কারেরাস

C) আর্গাস

D) কোভারুবিয়াস

26. কর্ভাসের কীর্তি দেখে আর্গাসের মুখ থেকে কোন্ শব্দ উচ্চারিত হয় ?

A) ম্যানিফিকো

B) গ্রেট

C) চালাক

D) কাক

27. আর্গাস কর্ভাসকে পাওয়ার জন্য প্রোফেসর শঙ্কুকে কত টাকা দিতে চেয়েছিলেন

A) দশ হাজার ডলার

B) পনেরো হাজার একুডো

C) পনেরো হাজার ডলার

D) দশ হাজার এডো

28. দশ হাজার একুডো’ মানে কত টাকা?

A) দশ হাজার টাকা

B) পনেরো হাজার টাকা

C) কুড়ি হাজার টাকা

D) পঁচিশ হাজার টাকা

29. হোটেলের ঘর থেকে কবে কর্ভাস উধাও হয়ে যায় ?

A ১৪ নভেম্বর

(B) ১২ নভেম্বর

C) ১৬ নভেম্বর

D) ১৮ নভেম্বর

30. হোটেলের কত নম্বর ঘরে প্রোফেসর শঙ্কু কর্ভাসকে রেখেছিলেন?

A) সত্তর নম্বর

B) একাত্তর নম্বর

C) বাহাত্তর নম্বর

D) তিয়াত্তর নম্বর

16.দরজায় চাবি লাগাতেই বুঝলাম, সেটার প্রয়োজন হবেনা  কারণ—

A) দরজা ভাঙা

B) চাবিটাই ভুল

C) দরজা খোলা

D) চাবি ভাঙা

17.আর্গাস কোন্ গাড়ি করে কর্ভাসকে নিয়ে গিয়েছিলেন?

A) কালো মারসেডিস

B) সিলভার মারসেডিস

C) সিলভার ক্যাডিলাক

D) কালো ক্যাডিলাক

18. কত বছর বয়স থেকে আর্গাস ম্যাজিক দেখাতে শুরু করেন ?

A) চোদ্দো বছর

B) ষোলো বছর

C) আঠারো বছর

D) উনিশ বছর

 

 অতিসংক্ষিপ্ত/সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর |কর্ভাস গল্প saq প্রশ্নোত্তর |প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪ | নবম শ্রেণীর কর্ভাস গল্প সহায়কপাঠ

 

1. ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে কী ধারণা ছিল ?

উত্তরঃ ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে এই ধারণা ছিল যে পাখি কথা বললেও সেই কথার মানে বোঝে না।

2. ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কু কাকে একশোর উপর বাংলা শব্দ উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলেন?

উত্তর: ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর বাড়ির পোষা ময়নাকে একশোটির উপর বাংলা শব্দ উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলেন।

3. প্রোফেসরের পোষা বিড়ালের নাম কী? সে কী পছন্দ করে না?

উত্তর: প্রোফেসরের পোষা বিড়ালের নাম নিউটন। সে একেবারেই পাখি পছন্দ করে না।

4. অস্ট্রেলিয়ার কোন্ পাখি মাটিতে বাসা বাঁধে ?

উত্তর: অস্ট্রেলিয়ায় ম্যালি ফাউল নামে একরকম পাখি আছে যারা মাটিতে বালি, মাটি আর উদ্ভিজ্জ দিয়ে বাসা বাঁধে।

5. ম্যালি-ফাউল পাখি ডিমে তা না দেওয়া সত্ত্বেও কী উপায়ে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয় ?

উত্তর: ম্যালি-ফাউল আশ্চর্য উপায়ে তার বাসার ভিতরের তাপমাত্রা আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট রাখায় তা না দিয়েও ডিম ফোটাতে পারে।

6. কোন্ পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় ও শাবকদের খাওয়ায় ?

উত্তরঃ গ্রিব নামের এক ধরনের পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় ও শাবকদের খাওয়ায়।

7. সব পাখির মধ্যে কোন্ পাখি বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল?

উত্তর: সব পাখির মধ্যে একটি কাক বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।

8. প্রোফেসর শঙ্কু কোন্ যন্ত্র নিয়ে কাজ করছিলেন ? যন্ত্রটির নাম কী?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু পাখি পড়ানোর যন্ত্র নিয়ে কাজ করছিলেন। তাঁর এই যন্ত্রটির নাম হল ‘অরনির্থন’।

9. প্রোফেসর শঙ্কু কাকটিকে আলাদাভাবে কী করে চিনতেন?

উত্তর: কাকটির ডান চোখের নীচে একটা সাদা ফুটকি থাকায় এবং তার হাবভাব অন্য রকম হওয়ায় শঙ্কু তাকে চিনতে পারতেন।

10. কবে, কোথায় সারা বিশ্বের পক্ষীবিজ্ঞানীদের একটা কনফারেন্স ছিল?

উত্তর: নভেম্বর মাসে চিলির রাজধানী সানতিয়াগো শহরে সারা বিশ্বের পক্ষীবিজ্ঞানীদের একটা কনফারেন্স ছিল।

11. প্রোফেসর শঙ্কুর পক্ষীবিজ্ঞানী বন্ধুর নাম কী? তিনি কোথায় থাকেন ?

উত্তর: প্রোফেসর শঙ্কুর পক্ষীবিজ্ঞানীবন্ধুর নাম হল রিউফাস গ্রেনফেল। তিনি মিনেসোটাতে থাকেন।

12. “আমার ছাত্রটিকে আমি ওই নামেই ডাকছি।”—ছাত্রটি কে? প্রোফেসর শঙ্কু তাকে কী নামে ডাকতেন?

উত্তর: ছাত্রটি হল শকুর পোষা একটি বুদ্ধিমান কাক। শঙ্কু তাকে ‘কর্ভাস’ নামে ডাকতেন

13. কভার্স শঙ্কুর ‘অরনিধন’ যন্ত্রের সাহায্যে কী কী শিখেছিল ?

উত্তর: কভার্স ‘অরনিধন’ যন্ত্রের সাহায্যে বাংলা ও ইংরেজি ভাষাসহ অঙ্ক, জ্যামিতি, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ইত্যাদি শিখেছিল।

14. কর্তাসের মধ্যে যে মানবসুলভ বুদ্ধি জেগে উঠেছিল, তার উদাহরণ পাওয়া যায় কোন ঘটনায় ?

উত্তর: সানতিয়াগো যাবার জন্য শঙ্কুর সুটকেস গোছানোর শেষে ঠোটে করে চাবি এগিয়ে দেওয়াই কর্ভাসের মানবসুলভ বুদ্ধির প্রকাশ।

15. কর্ভাস কীভাবে প্রোফেসর শঙ্কুকে তাঁর পাসপোর্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল?

উত্তর: প্রথমে খাঁচায় ছটফট করে এবং পরে ঠোঁট দিয়ে দেরাজে টোকা মেরে কর্ভাস শঙ্কুকে পাসপোর্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল।

16. সানতিয়াগোর কোন কাগজে কর্ভাসের খবর ও কী ছবি বেরিয়েছিল?

উত্তর: কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগো-র সান্ধ্য সংস্করণে কর্ভাসের খবর ও পেনসিল-মুখে একটা ছবি বেরিয়েছিল।

17. মিটিং-এর পর প্রোফেসর শঙ্কু কাদের সাথে সানতিয়াগো শহরটা দেখতে বেরিয়েছিলেন?

উত্তর: মিটিং-এর পর প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর বন্ধু গ্রেনফেল ও সম্মেলনের চেয়ারম্যান সিনিয়র কোভারবিয়াসের সঙ্গে শহর দেখতে বেরিয়েছিলেন।

18. কোন্ পর্বতশ্রেণি চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে?

উত্তর:পূর্বদিকে আন্ডিজ পর্বতশ্রেণি চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে।

19. প্রোফেসর শঙ্কু চিলিতে গিয়ে কার ম্যাজিক দেখেছিলেন ? তাঁর ম্যাজিকের বিশেষত্ব কী ছিল?

উত্তর: প্রোফেসর শঙ্কু চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের ম্যাজিক দেখেছিলেন। নানা তাঁর ম্যাজিকের বিশেষত হল তিনি ম্যাজিকে ধরনের পাখি ব্যবহার করতেন।

20. নামটা শুনে বাধ্য হয়েই ভদ্রলোককে উপরে আসতে বলতে হল।”— কোন্ নাম ?

উত্তর: নামটি হল আর্গাস। ইনি বিখ্যাত চিলিয়ান জাদুকর। ইনি রাতে হোটেলে প্রোফেসর শঙ্কুর সাথে দেখা করতে এসেছিলেন।

 

21. সেই কীর্তিমান পুরুষটির সঙ্গে পাখির একটা সম্পর্ক রয়েছে।”- কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে গ্রিক উপকথায় উল্লিখিত সর্বাঙ্গে সহস্র চোখ বিশিষ্ট আর্গাস নামের কীর্তিমান পুরুষের কথা বলা হয়েছে।

22. বেশ তো—তাই হোক – কী হয়েছিল ?

উত্তর: আর্গাসের অনুরোধে শঙ্কু খাঁচার দরজা খোলায় কর্ভাস বেরিয়ে ঠোঁটের ঠোকরে টেবিল ল্যাম্পটা নিবিয়ে দিয়ে খাঁচায় ঢুকে গিয়েছিল। |

23. কর্ভাসের কীর্তি দেখে আর্গাস কোন্ স্প্যানিশ শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন। তার অর্থ কী?

উত্তর:, কর্ভাসের কীর্তি দেখে আর্গাস স্প্যানিশ ম্যানিফিকো’ শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন। এই শব্দটির অর্থ চমকপ্রদ, অসামান্য।

24. সেই থেকেই ময়ূরের লেজে ঢাকা ঢাকা দাগ। কখন থেকে ?

উত্তর: গ্রিক উপকথা অনুসারে দেবী হেরা আর্গাসের সহস্র চোখ ময়ূরের লেজে বসানোর সময় থেকেই তাতে চাকা চাকা দাগ দেখা যায়।

25. ওই পাখি আমার চাই – আমার চাই – কে, কার কাছে কোন পাখি চেয়েছিলেন?

উত্তর:, চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুর কাছ থেকে তাঁর পোষা বুদ্ধিধর কাক কর্ভাসকে চেয়েছিলেন।

 

 

1.3 রচনাধর্মী/বড় প্রশ্ন উত্তর |প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪ | নবম শ্রেণীর কর্ভাস গল্প সহায়কপাঠ

 

প্রশ্ন : আমার সে ধারণা প্রায় পালটে গেল। — কার, কোন্|ধারণার কথা বলা হয়েছে? তা কীভাবে পালটে গেল ? 

 

উত্তর: সত্যজিৎ রায় রচিত ‘কর্ভাস’ কাহিনি থেকে উদ্ধৃত উক্তিটিতে প্রোফেসর শঙ্কুর ধারণার কথা বলা হয়েছে। ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর ধারণা ছিল যে পাখি কথা বললেও সেই কথার মানে বোঝে না।

→ ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর বাড়িতে একটি পোষা ময়না ছিল। প্রোফেসর শঙ্কু তাকে একশোর উপর বাংলা শব্দ স্পষ্টভাবে বলতে শিখিয়েছিলেন। কিন্তু এই সময় তাঁর ধারণা ছিল, পাখি কথা বললেও সেই কথার মানে বুঝতে পারে না। একদিন দুপুরবেলা তিনি স্কুল থেকে ফেরার পর তাঁর মা যখন তাঁকে মোহনভোগ খেতে দিয়েছেন তখন হঠাৎই ময়নাটা ‘ভূমিকম্প, ভূমিকম্প’ বলে চেঁচিয়ে ওঠে। সেই সময় কেউ কোনো কম্পন অনুভব করতে পারেনি। কিন্তু পরের দিন কাগজে বেরোয় যে সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে সত্যিই নাকি একটা মৃদু কম্পন ধরা পড়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই প্রোফেসর শঙ্ক এই ধারণা পালটে যায় যে পাখি কথা বললেও কথার মানে বোঝে না। তিনি বুঝতে পারেন, পাখিরা যেমন কথা বলতে পারে, তেমন সেই কথার মানেও বুঝতে পারে।

প্রশ্ন : ম্যালি-ফাউল ও গ্রিব নামের পাখি সম্পর্কে আমরা কর্ভাস গল্পে কী কী তথ্য পাই ?

উত্তর: সত্যজিৎ রায় রচিত কর্ভাস গল্পে অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসকারী ম্যালি-ফাউল বলে এক বিশেষ প্রজাতির পাখির উল্লেখ আছে, যারা মাটিতে বাসা তৈরি করে। বালি, মাটি আর নানারকম উদ্ভিজ্জ দিয়ে তারা একটি ঢিপি তৈরি করে, আর তার ভিতরে ঢোকার জন্য একটি গর্ত থাকে। তারা বাসার ভিতরে ডিম পাড়ে, কিন্তু ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার জন্য ডিমে তা দেয় না। ম্যালি-ফাউলরা কোনো-এক আশ্চর্য ও অজ্ঞাত কৌশলে বাসার ভিতরের তাপমাত্রা ঠিক আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট রাখে, এক ডিগ্রিও এদিক-ওদিক হতে দেয় না। বাইরের আবহাওয়া ঠান্ডা বা গরম যাই থাকুক না কেন, তাদের বাসার ভিতরের তাপমাত্রা আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইটেই স্থির থাকে। এই উন্নতাই ডিম ফুটে শাবক বেরোনোর জন্য আদর্শ।

গ্রিব নামক একধরনের পাখি আছে যারা নিজেরাই নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় আর শাবকদেরও খাওয়ায়। তাদের এই আচরণের কারণ কেউ জানে না। এরা আবার জলে ভাসমান অবস্থায় কোনো শত্রুর আগমনের ইঙ্গিত পেলে, নিজের দেহ ও পালক থেকে কোনো-এক অজ্ঞাত উপায়ে বায়ু বার করে দিয়ে শরীরের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বা আপেক্ষিক গুরুত্ব বাড়িয়ে গলা অবধি জলে ডুবে থাকতে পারে।

প্রশ্ন : আমার ‘অরনিথন’ যন্ত্র আজ তৈরি শেষ হল। — যন্ত্রটির পরিচয় দাও। এই যন্ত্রটির ব্যবহার কীভাবে শুরু হল ? 

 

উত্তর: সত্যজিৎ রায়ের ‘কর্ভাস’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কু পাখিকে পড়ানোর জন্য এই ‘অরনিথন’ যন্ত্রটি তৈরি করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এই কাজের জন্য তৈরি যন্ত্রের গঠন এবং কার্যপদ্ধতি সরল হোক। এই যন্ত্রটির দুটি অংশ—একটি অংশ খাঁচার মতো, পাখি থাকবে এই খাঁচার মধ্যে। আর এই খাঁচার সঙ্গে দ্বিতীয় অংশের বৈদ্যুতিক যোগ থাকবে। এই দ্বিতীয় অংশ থেকে জ্ঞান ও বুদ্ধি চালিত হবে পাখির মস্তিষ্কে।

° অরনিধন’ যন্ত্রটি তৈরি শেষ হলে সেটি টেবিলে রেখে দরজা খুলে দিলে প্রোফেসর শকুর পছন্দের কাকটি নিজে থেকেই লাফাতে লাফাতে তার ভিতর ঢুকে পড়ে। এর থেকে বোঝা যায়। কাকটির শেখার আগ্রহ ছিল প্রবল। প্রোফেসর ঠিক করলেন প্রথমে কাকটিকে ভাষা শিক্ষা দেবেন। তাই তিনি সহজ বাংলা দিয়েই তার শিক্ষা শুরু করলেন। শেখাবার সমস্ত বিষয় যন্ত্রটিতে আগে থেকেই রেকর্ড করা ছিল, শুধুমাত্র বোতাম টিপে দিনেই তা চলতে শুরু করত। আশ্চর্যের কথা হল, যন্ত্রটির ব্যবহারের শুরুতে বোতাম টিপলেই কাকটার চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসত। আর সঙ্গে সঙ্গে তার নড়াচড়াও বন্ধ হয়ে যেত। কাকের মতো ছটফটে পাখির পক্ষে এটা প্রায় অস্বাভাবিক আচরণ। এভাবেই প্রোফেসর ‘অরনিধন’ যন্ত্রের ব্যবহার শুরু করেন।

প্রশ্ন : আজকে যে ঘটনাটা ঘটল, তার পরে সম্পর্কটা বন্ধুত্বে পরিণত হলেও আশ্চর্য হব না। এখানে কোন সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে? কোন ঘটনা ঘটেছিল? 

 

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত কর্ভাস” গল্প থেকে গৃহীত এই উদ্ধৃতিটিতে প্রোফেসর শঙ্কুর পোষা বিড়াল নিউটনের সঙ্গে কর্ভাস নামের তারই পোষা কাকের সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। নিউটন প্রথমদিকে কোনো পাখিকে পছন্দ না করলেও পরবর্তীকালে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার এই স্বভাব বদলাতে থাকে। তাই কভাসকে সে মেনে নিয়েছিল। তবে একদিনের একটি ঘটনায় প্রোফেসর শঙ্কুর মনে হয় নিউটন ও কর্ভাসের সম্পর্কটা হয়তো ভবিষ্যতে বন্ধুত্বে পরিণত হতে পারে। একদিন দুপুরে নিউটন প্রোফেসরের আরাম কেদারার পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়েছিল, কর্ভাস সেই সময় ঘরে ছিল না। হঠাৎ নোট লিখতে লিখতে প্রোফেসর ডানার ঝটপটানির শব্দ শুনে জানালার দিকে চেয়ে দেখেন কর্তাস ঘরে ঢুকেছে, আর তার ঠোঁটে ঝুলছে সদ্য কাটা একটি মাছের টুকরো। প্রোফেসরকে প্রায় অবাক করে দিয়ে কর্তাস নিউটনের সামনে সেই মাছের টুকরোটি ফেলে দিয়ে৷ জানালায় ফিরে গিয়ে বসে ঘাড় বেঁকিয়ে এদিক-ওদিক দেখতে থাকে। নিউটনের জন্য কর্তাসের এই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে প্রোফেসরের মনে হয়েছিল এদের দুজনের সম্পর্কটা হয়তো ভবিষ্যতে বন্ধুত্বে পরিণত হতে পারে।

প্রশ্ন : দু-সপ্তাহে অভাবনীয় প্রোগ্রেস। একখানে কোন বিষয়ে বলা হয়েছে। কীরকম প্রোগ্রেস হয়েছিল ?

উত্তর : সত্যজিৎ রায় রচিত ‘কর্ভাস’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর তৈরি ‘অরনিধন’ যন্ত্রের সাহায্যে কর্ভাস নামের কাকটির শিক্ষাগ্রহণের বিষয়ে একথা বলা হয়েছে।

• প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর আবিষ্কৃত  ‘অরনি’ যন্ত্রের সাহায্যে প্রথমে কর্ভাসকে ভাষাশিক্ষা দিতে শুরু করেন। প্রথম পর্যায়ে সহজ বাংলা ভাষা এবং পরবর্তী পর্যায়ে ইংরেজি ভাষাশিক্ষা শুরু হয় তার। আর এর মাত্র দু-সপ্তাহের মধ্যেই কর্ভাস ঠোঁটে পেনসিল নিয়ে ইংরেজি কথা আর সংখ্যা লিখতে শুরু করে। টেবিলের উপর কাগজ রেখে কর্ভাস তার উপরেও লিখতে শেখে। ইংরেজিতে নিজের নাম C-O-R-V-U-S লিখতে এবং সহজ যোগ-বিয়োগ করতে শেখে। ইংল্যান্ডের রাজধানীর নাম, প্রোফেসরের পদবিও লিখতে শেখে। দেখা যায়, সে মাস, বার, তারিখও লিখতে পারছে। কোনো এক শুক্রবারে প্রোফেসর সেদিন কী বার জিজ্ঞেস করায় সে পরিষ্কার করে লেখে F-R-1 D-A-Y। এই যন্ত্রের সাহায্যে অন্যান্য বিষয়েও কর্ভাসের দক্ষতার বিকাশ ঘটতে শুরু করে মাত্র দু-সপ্তাহেই। এ ছাড়া খাওয়ার ব্যাপারেও কর্ভাসের বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া গেছে। প্রোফেসর শঙ্কু একদিন একটা পাত্রে রুটি-টোস্টের টুকরো আর একটা পাত্রে খানিকটা পেয়ারার জেলি কর্ভাসের সামনে রেখেছিলেন। সে রুটির টুকরো মুখে পোরার আগে প্রতিবারই ঠোঁট দিয়ে তাতে খানিকটা জেলি মাখিয়ে নিচ্ছিল। এভাবেই ‘অরনিথন’ যন্ত্রের সাহায্যে কর্ভাসের জ্ঞান ও বুদ্ধির সামগ্রিক বিকাশ ঘটতে থাকে।

প্রশ্ন : কভার্স যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম ‘ কোন্ ঘটনায় এই প্রমাণ পেয়েছিলেন প্রোফেসর শঙ্কু ? 

 

উত্তর:  ‘অরনিথন’ যন্ত্রের মাধ্যমে দু-সপ্তাহের মধ্যে কর্ভাসের শিক্ষায় অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছিল। আর তারপর থেকেই সে নিজেকে অন্য সাধারণ কাকেদের থেকে আলাদা মনে করতে শুরু করে। একদিন দুপুরে হঠাৎ খুব বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে বিদ্যুৎ ও বজ্রপাত। তিনটে নাগাদ এক কান ফাটানো বাজ পড়ার শব্দ হলে প্রোফেসর শঙ্কু জানালার কাছে গিয়ে দেখেন তাঁর বাগানের বাইরের শিমুল গাছটা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিকেলে বৃষ্টি থেমে গেলে বাইরে কাকেদের প্রচণ্ড কোলাহল শোনা যায়।  প্রোফেসর তাঁর চাকর প্রহ্লাদকে ব্যাপারটা দেখতে পাঠালে, সে ফিরে এসে জানায় যে ওই গাছটার নীচে একটা কাক মরে পড়ে আছে। তাই কাকেরা এত চ্যাচাচ্ছে। বোঝা যায় ওই বাজ পড়ার ফলেই কাকটার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল — যেখানে কাকেরা এসে জড়ো হয়েছে, সেখানে কর্ভাস প্রোফেসরের ঘর থেকে বেরোনোর কোনোরকম কোনো আগ্রহ দেখায়নি রাখতে তাই মনে হয়েছিল

শেষ কথা : তাহলে আসা করি তোমরা প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪ সাজেশন থেকে নিশ্চয় তোমাদের সাহায্য হবে । আর এই প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪ কেমন হয়েছে কমেন্ট এ জানাবে ।আর যাদের প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি- কর্ভাস গল্প প্রশ্ন উত্তর ২০২৪  সমন্ধে কোনো প্রশ্ন আছে আমাকে কমেন্ট বক্স এ জানিয়ে দেবে । আর আরো নতুন নতুন পোস্ট পেতে follow করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *